বিরল রোগে আক্রান্ত ধামইরহাটের জাহিদুল ইসলামের
আবু মুছা স্বপন, ধামইরহাট নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে বিরল রোগে আক্রান্ত জাহিদুল ইসলামের যেন ঈদ আনন্দ নেই বললেই চলে। দুই পায়ের বিরল এই রোগে স্বাভাবিকভাবে হাটা-চলা করতে পারে না ২২ বছর বয়সী এই যুবক, পায়ে সৃষ্টি হচ্ছে গাছের অঙ্কুর। একটু সুস্থ্যতা কামনায় হারিয়েছেন ভিটে-মাটি, এখন পরিবারের সবাই প্রায় বাস্তুহারা। যৌবন দীপ্ত এই উজ্জল সময়ে ভবিষ্যতের আলোকশিখা যেন নিভু নিভু প্রায়।
ভুক্তভোগীর ভাস্য ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ইসপুর ইউনিয়নের চকমহাদেব গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেরে জাহিদুল ইসলাম বাবার অভাবি সংসারে সহযোগিতার জন্য জীবিকার তাগিদে ফেনী জেলায় ইমরাত নির্মান শ্রমিক (রাজমিস্ত্রী) হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল। সেখানে ৩ মাস কাজ করার পর বাড়ী চলে আসে যুবক জাহিদুল ইসলাম। বাড়ী ফেলার কয়েকদিন পর তার পায়ে ছোট ব্রণ জাতীয় কিছু একটা বের হয়, পরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। বাবা আজিজ মিয়া সন্তানের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পরিবারের শেষ সম্বল ৫ শতক জমির ভিটে-মাটি টুকু অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। এতে শরীর থেকে রোগ নামিয়ে জাহিদুলের দুই পায়ে এসে স্থায়ীভাবেই যেন থেকে যায়। জাহিদুলের পরিবার এখন স্থানীয় ইউপি সদস্য খেলাফত ইসলাম খেলুন সরকারী খাস জমিতে তাদের অস্থায়ী বাড়ী নির্মান করে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম জানান, বাড়ীর জমি-জমা, গরু-বাছুর সব কিছু উজার করে দিয়ে আমার বাবা-মা আমার জন্য চেষ্টা করেছেন, ১ বোন ও অপর দুই অন্যত্র শ্রমিকের কাজ করে। আমি টাকার জন্য চিকিৎসা করতে পারছিনা আমি সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চাই, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী যিনি মুক্তামনির চিকিৎসা করিয়েছেন, আমি সেই মমতাময়ী মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহায্য চাই” বলে কেঁদে ফেলেন যুব জাহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, দেখে তো অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে তবে এটি মুলত ‘লিমফেটিক অবসট্রাকশন অথবা ফাইলেরিয়াসিস ও স্কিন ইনফেকশন’ হতে পারে, তবে পরীক্ষা নিরিক্ষার আগে কিছু বলা যাবে না, তবে রাজশাহী মেডিকেলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
এলাকাবাসী ও সম্পদশালীদের একটু আর্থিক সহায়তায় হতে পারে ভূমিহীন এই দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া জাহিদুল ইসলামের সুস্থ্য হওয়ার সু-পথ।
কোন মন্তব্য নেই