Header Ads

নওগাঁ’র আলোচিত সালেবাজ গ্রামের মিলন-টফি দম্পতি মাদক ব্যবসা করে এখন কোটিপতি : সরকারী তদন্ত দাবী এলাকাবাসীর


নওগাঁ : মাদক সরবরাহের সবচেয়ে বড় আখড়া বলে খ্যত নওগাঁ সদর উপজেলার সালেবাজ গ্রামের মিলন ও টফি দম্পতি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি বনে গেছে। মাত্র কয়েক বছর পূর্বে যে মিলন ছিল একজন ডে-লেবার। এখন সে টাকার পাহাড়ে বসবাস করছে। এরই মধ্যে মাত্র কিছুদিন পূর্বে পাহাড়পুর বাজারে অবস্থিত জনৈক হামিদুর রহমান মন্টুর নিকট থেকে কোটি টাকা মুল্যের বয়লার চাতাল ক্রয় করেছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যপক আলোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। 
নওগাঁ সদর উপজেলার কির্ত্তীপুর ইউনিয়নের মাদকের জন্য বহুল আলোচিত গ্রাম সালেবাজ। মাদকের জন্য এই গ্রাম সারাদেশে বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে। এই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। নওগাঁ শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসেবীরা রাতদিন দলে দলে সেই গ্রামে গিয়ে মাদকসেবন করে থাকে।
এই গ্রামের এক দম্পতি মিলন ও তার স্ত্রী টফি। মিলন ছোট থেকে তার মামার বাড়ি সদর উপজেলার হালঘোষপাড়ায় পালিত হতে থাকে। আজ থেকে ১০ বছর পূর্বে ২৫ বছর বয়সে সে ফিরে আসে নিজ বাড়িতে। বর্তমানে তার বয়স ৩৫ বছর। ঐ গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর কন্যা টফি। অন্যত্র টফির বিয়ে হলেও পরবর্তীতে মিলন তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে বিয়ে করে আনে। স্বামী স্ত্রী মিলে শুরু করে মাদকের ব্যবসা। তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। মাঝে মাঝে পুলিশের হাতে গ্রেফতার। ছাড়া পেয়ে যথারীতি আবার ব্যবসা। নওগাঁ’র ডিআইও-১ মোঃ মোসলেম উদ্দিন জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত উক্ত মিলনের বিরুদ্ধে থানায় ৫টিরও বেশী মামলা রয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে একাধিকবার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেছেন উক্ত মিলন মামার বাড়ি থেকে ফিরে এসে প্রথম দিকে অন্যের বাড়িতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছে। দিন কাটতো অনাহারে অর্ধাহারে। কিন্ত মাদকের ব্যবসা তার দিন বদলিয়েছে। তার বাড়িতে প্রতিদিন প্রতিরাত যেমন মাদকের জলসা বসে তেমনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে থাকে। এভাবে অর্থের পাহাড় গড়েছে।  শোনা গেছে তার স্ত্রী টফির নামে বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর টাকা রয়েছে। এর উপর অতি সম্প্রতি পাহাড়পুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে  জনৈক হামিদুর রহমান মন্টুর মালিকানাধীন প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর অবস্থিত বিশাল বয়লার চাতালটি প্রায় কোটি টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন। এলাকাবাসী মনে করেন প্রকাশ্যভাবে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মেনে নেয়ার মত নয়। সরকারীভাবে বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.