Header Ads

মহাদেবপুরে জেড়েছে ফেসবুক অপরাধ


ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিসীম। তথ্য ও প্রযুক্তির দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ইতিবাচক ও নেতিবাচক। এ কথা সত্য যে, কিছু অসৎ ব্যক্তি তথ্য ও প্রযুক্তির অপব্যবহার করে চলেছে। ফেসবুক একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কোটি কোটি মানুষের জীবনযাপনের অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে এটি। তবে স্বীকার করতেই হবে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার ব্যক্তি, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নানা অকল্যাণও ডেকে আনছে।
যার নেতিবাচক প্রভাব ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনে এসে পড়ছে। তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তারে  শিক্ষার্থী, চাকুরীজিবী, দিনমজুর ও অল্প শিক্ষিতরা এখন সহজেই স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ফেসবুক ব্যাবহার করছেন। আবার ফেসবুকের অপব্যবহারে অনেক পরিবারে নেমে এসেছে অশান্তি। আবার কেউ কেউ করছে ফেসবুক কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধ। ভাবার বিষয় হচ্ছে ফেক আইডি। ফেক আইডি ব্যবহার করে একের পর এক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে দূর্বৃত্তরা। সম্প্রতি নওগাঁর মহাদেবপুরে ফেসবুক কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধের শিকার হয়ে থানার শরনাপন্ন হয়েছেন অনেকেই। কিছুদিন পূর্বে ফেসবুকের অপব্যবহারের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এই গৃহবধূর ছবি ও নাম ব্যবহার করে দূর্বৃত্তরা ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে চালাচ্ছে। ফেক আইডি ব্যবহারকারী দূর্বৃত্তরা একের পর এক হুমকি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে মানষিক চাপে রাখেন গৃহবধূ ও তার পরিবারকে। মানষিক চাপ ও হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেনের সরনাপন্ন হন হতাশাগ্রস্থ ঐ গৃহবধূ ও তার স্বামী। অপরদিকে, ৩-৪ মাস পূর্বে উপজেলার নওহাটামোড় বাজারের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর নব-বিবাহীত মেয়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডি খুলে তাতে ঐ মেয়েটির কয়েকটি অশ্লিল ছবি ও ভিডিও ছাড়েন অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি এলাকার জনসাধারনের মাঝে ছড়িয়ে পরলে এক পর্যায়ে মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। মেয়েটির পরিবার মানসম্মান ও মেয়ের সংসার ভাঙ্গার ভয়ে বিষয়টি গোপনেই সয়ে গেছেন বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। বেশকিছু দিন পূর্বে উপজেলার রানী-পুকুর এলাকার একটি মেয়ের ছবি ফেসবুক আইডিতে দেয়ার ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে বিষয়টি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে এক পর্যায়ে মিমাংসা হয়। কয়েক মাস পূর্বে আরেকটি ভয়াভয় ঘটনা ঘটে উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে, দরিদ্র পরিবারের ১৬ বছরের মেয়ের মোবাইল ফোনে মিচকলের সুত্র ধরে পরিচয় হয় বগুড়া জেলার সান্তাহার এলাকার এক যুবকের সাথে। এক পর্যায়ে কৌশলে যুবক মেয়েটির পরিবারের সাথে ধর্ম আত্বীয়তা গড়ে তুলে মেয়েটির বাড়িতে আসা-যাওয়া করাকালে কৌশলে মেয়েটির সাথে অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ও ভিডিও ধারন করে রাখেন। পরে মেয়েটির পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ায় ঐ যুবক ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মেয়েটির বেশ কিছু অশ্লীল ছবি ও ভিডিও নাম ঠিকানা সহ মেয়েটির মোবাইল নাম্বার লিখে ছেরে দিলে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েন। তারপরও মানসম্মান ও মেয়েটির সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে, আইনানুগ কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাটি গোপনেই মিটিয়ে নেন। দূর্বৃত্তরা ফেক আইডি ব্যবহার করে সমাজের সম্মানিত ব্যাক্তিবর্গের সম্মানহানী সহ একের পর এক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। দিনদিন বেড়েই চলেছে ফেক আইডি ব্যবহারের সংখ্যা। ভুয়া ফেসবুক আইডি সনাক্ত পূর্বক আইডি চালক দূর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থ্যা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।#

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.