Header Ads

ফলন বিপর্যয়ে নওগাঁর আলু চাষিরা




তৌহিদ ইসলাম, নওগাঁ : চলতি মৌসুমে বড় ধরনের ফলন বিপর্যয়ে পড়েছেন নওগাঁর আলু চাষিরা। এরই মধ্যে ব্যাপকহারে আলু তোলা শুরু হলেও হাঁশি নেই কৃষকের মুখে। কারন আলুর গায়ে দাগ আর পচণ দেখা যাচ্ছে সাথে ফলনও হয়েছে অনেক কম। কৃষি বিভাগের দাবী বন্যা আর বৃষ্টির কারনে এবার ফলনে প্রভাব পড়েছে।

কৃষকরা জানান, এ বছর জেলায় কাঁঠি লাল, হলেন্ডারসহ প্রায় ৬ জাতের আলু চাষ হয়েছে। কিন্তু আলু তোলারপর আলুর গায়ে কালো দাগ আর পচন দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়; এ মৌসুমে বিঘাপতি সাধারণত ৬০ মন আলু হওয়ার কথা। কিন্তু তা কমে গড়ে ফলন হচ্ছে ৩০ মণ পর্যন্ত। এমন জমি আছে যেগুলোতে বিঘাপতি ১০ মনও হয়েছে। 


শুধু তাই নয়; গত মৌসুমে এ অঞ্চলের যেসব কৃষক কোল্ডস্টোরেজে আলু রেখেছিলেন লোকশানের কারণে তাদের বেশিরভাগই এখনও আলু বের করতে পারেন নি। কারন ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলু রাখার জন্য কৃষকদের দিতে হয় ৭’শ টাকা। কিন্তু এখন আলু নিতে গেলে দিতে হবে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। যার বিপরিতে বাজারে আলুর দাম প্রতি মণ সাড়ে ৬’শ টাকা পর্যন্ত। অর্থাৎ এমন অবস্থায় আলু নিতেগেলে লোকশান হবে সাড়ে ৩’শ টাকা পর্যন্ত। 

মান্দা উপজেলার দেলুয়াবাড়ি গ্রামে আলু চাষী মোজাম্মেল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, মোট ৩ বিঘা আলু চাষ করেছি। এবছর আলুতে লাভ হবে না। বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ মন আশা করা হলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। একেত আলুর ফলন কম তারপর আবার আলুর গায়ে দাগ আর পচন দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে এবার আলুতে খুব লোকশান হবে। এভাবে যদি প্রতি বছর আলুতে লোকশান হয়। তাহলে চাষীরা আর আলু চাষ করতে পারবে না। 

একই গ্রামের আজাহার বাংলানিউজকে জানান, এসব জমিতে সাধারণত বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০  মণ হারে আলু হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর তা নেমে হয়েছে গড়ে ৩০ মণ পর্যন্ত। শুধু তাই নয় আলুর গায়ে দাগ আর পচন থাকায় দামও মিলছেনা আশানুরুপ। তিনি আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর আলুর আবাদও হয়েছে অনেক কম। 

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক বাংলানিউজকে জানান, গত বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। যেখানে এ বছর কমে হয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। একদিকে বন্যা কবলিত জমিতে ময়েশ্চার বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির কারণে এবারে ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। তবে আলুর গায়ে দাগ ও পচন রোধে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.