পার্কে চলছে বেহায়াপনা ; কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে বি-পথে
বরেন্দ্র ডেক্স : পার্কগুলোতে প্রতিদিন সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে বেহায়াপনা। নামে মাত্র শিশু পার্ক। আসলে এগুলি প্রেমিক-প্রেমিকাদের একটি ঘনিষ্ট সময় কাটানো জায়গা। বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার শেষ সিমান্তে বগুড়া-সান্তাহার সড়কের দক্ষিণ পাশে একটি চাল কলের চারদিক ঘিরে গড়ে উঠেছে ফারিস্ত শিশু পার্ক। সান্তাহার – নওগাঁ বাইপাস সড়কের মাথায় শখের পল্লী । নওগাঁর বাইপাস সড়কের তুলশিগঙ্গা নদীর ধারে খামার বাড়ি ও নওগাঁ শহারের এনজিও ব্যবসায়ী রানার ডানা পার্ক।
পার্কগুলিতে গেইটে ২০ টাকার মাধ্যমে টিকেট কেটে একবার এই পার্কে প্রবেশ করলে সারাদিন থাকা যায়। প্রবেশের পর পার্কের ভিতরে শিশুদের জন্য কিছুই চোখে বড়বে না। এর চার পাশে রয়েছে ঘোন গাছ ও বসার জন্য পাকা ছোট ছোট বেঞ্চ।
পার্কের ভেতরে প্রবেশ করলে যেদিকে নজর পড়ে সেদিকেই দেখা যায় প্রেমিক-প্রেমিকারা ভালোবাসা ও আদর সোহাগে মত্ত থাকার দৃশ্য। কার পাশ দিয়ে কে আসলো আর কেইবা গেলো সেদিকে নজর দেয়ার মতো কোনো সময়ই নেই। যে যার মতো করে প্রেমলীলায় ব্যতিব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ভদ্র পরিবারের কেউ এ পার্কে একবার যদি ভুলক্রমে প্রবেশ করে পুনরায় আর কখনো সেখানে যাবার নাম মুখে নিবে না।
নামে শিশু পার্ক হলেও শিশুদের চেয়ে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীরা প্রবেশ করে বেহায়াপনায় লিপ্ত থাকে। যা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করার মতো নয়। আর প্রেমিক-প্রেমিকাদের আবেগাপ্লুত আদর-সোহাগের দৃশ্য দেখে মনে হয়, ফ্রি সেক্সের দেশের কোনো পরিবেশ। পুরো পার্কের ভেতরে প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়া আর পার্কের লোকজন ছাড়া কোনো শিশুকেই দেখা যায়নি।
তবে সাবধান এই পার্কগুলোতে কিন্তু দুষ্টো লোকের অভাব নেই। দুর থেকে ওত পেতে প্রেমিক প্রেমিকাদের ঘনিষ্ট হবার দৃষ্ট্য ধারণ করে ফেলা হচ্ছে বিপাকে। সেই দৃষ্ট্য পরিবারকে দেখানোর হুমকি দিয়ে খোলা হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। আবার সন্ধ্যে বেলায় সুযোগ পেলে সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে লঞ্চিত করা হচ্ছে। লোক লজ্জার ভয়ে কিছুই বলতে পারছে না এসব প্রেমিক যুগোল।
পার্বের পরিচালকরা বলেন, আমার পার্কে কাওকে আসার জন্য হাতে পায়ে ধরি না। যার ভালো লাগে সে আসবে। আর যার ভালো লাগবে না সে আসবে না।
কোন মন্তব্য নেই